গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘঠনায় মশিউর রহমান রাঙ্গা নামের ওই নেতাকে প্রধান আসামি করে আরও দুইজনের নামে মামলা দায়ের করে হয়েছে। ঘটনার ছয় দিন পর ভুক্তভোগীর থানায় মামলা দায়ের করতে সক্ষম হওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে দশটার দিকে তালুককানুপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান (৪৩) ও তার সহযোগী জব্বারুল ইসলাম (২৫) ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে তার স্বামীকে ডাকাডাকি করে। স্বামী বাড়িতে না থাকায় ভুক্তভোগী নারী বাইরে এলে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে। সেখানে মশিউর, জব্বারুল ও আরেক অপরিচিত ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, মশিউর রহমান আগে থেকেই ভুক্তভোগী নারীকে নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। ঘটনার পর অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা না করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। যুবদল নেতা হওয়ার সুবাদে মশিউর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়। এই হুমকির কারণেই ঘটনার এক সপ্তাহ পর তারা মামলা করতে সক্ষম হন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত চলছে। তবে ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে, যুবদল নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোষ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা যুবদলের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পদধারী কোনো নেতার ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় দল নেবে না। মশিউর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীর দাবি, পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার না করায় আসামিরা তাদের হুমকি দিচ্ছে। তারা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং স্থানীয়ভাবে ন্যায়বিচার পেতে হিমশিম খাচ্ছেন।

